শাপলা চত্বরের সেই কালো রাত: ১২ বছর ধরে বিচারহীনতার গ্লানি
২০১৩ সালের ৫ মে। রাত তখন ঘন অন্ধকারে ঢাকা, আর শাপলা চত্বরে ঢাকার বুক কাঁপানো এক নির্মম ইতিহাস রচনা হচ্ছিল। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শেষে যখন হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছিল, তখন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এক যৌথ অভিযান সেই শান্ত চত্বরকে পরিণত করেছিল মৃত্যুপুরীতে।
রাতভর চলে “অপারেশন সিকিউর শাপলা”। চোখে ধোঁয়া, বুকে গুলি, শরীরে লাঠির আঘাত—কেউ পালাতে পারেনি। ছাত্র, শিক্ষক, শিশু, বৃদ্ধ—কারো গায়ে ‘বিপ্লবের রঙ’ ছিল না, তবু তারা যেন অপরাধী হয়ে উঠেছিল রাষ্ট্রের চোখে।
আজ ২০২৫ সাল। সেই বিভীষিকার ১২ বছর পার হয়ে গেছে।
১২ বছর কেটে গেছে, কিন্তু আজও সেই রাতের কোনো বিচার হয়নি।
নেই কোনো ট্রুথ কমিশন, নেই নিরপেক্ষ তদন্ত।
নেই নিহতদের পূর্ণ তালিকা, নেই দোষীদের বিচার।
হেফাজতে ইসলাম ২০২৫ সালের ৫ মে পর্যন্ত ৯৩ জনের একটি প্রাথমিক নিহত তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্র এখনও নিশ্চুপ। মিডিয়া এই ঘটনা ভুলে গেছে, আর যারা সেই রাতে নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের পরিবার আজও আশায় বুক বাঁধে—কোনোদিন হয়তো তারা ফিরে আসবে।
১২ বছর ধরে চলছে—
ন্যায়বিচারের অপেক্ষা
নিরব প্রতিবাদ
ইতিহাস ধামাচাপার চেষ্টা
তবে ইতিহাস ভুলে না।
শাপলা চত্বরের সেই কালো রাত, রাষ্ট্রের নির্যাতনের প্রতীক হয়ে আছে।
একদিন, ইতিহাস এই রাতের সাক্ষী ধরে রাখবে, বিচার হবেই—এই বিশ্বাসে মানুষ আজও বলে:
ইনশাআল্লাহ বিচার হবে।
ReplyDelete