Skip to main content

AI কী? কে এটি তৈরি করেছে?

AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে এবং কাজ করতে পারে। সহজভাবে বললে, AI এমন একটি মেশিন বা প্রোগ্রাম যা শেখে, সিদ্ধান্ত নেয়, এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি মানুষের বুদ্ধিমত্তার অনুকরণ করে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। AI-এর ধারণা প্রথম আসে ১৯৫৬ সালে, যখন একদল বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথ কলেজে এই বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেন। এর পর থেকে ধীরে ধীরে এই প্রযুক্তির উন্নতি হয়। বর্তমানে গুগল, ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, এবং আরও অনেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান AI নিয়ে কাজ করছে। OpenAI হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা জনপ্রিয় AI মডেল ChatGPT তৈরি করেছে। --- AI দিয়ে কী কী করা যায়? AI দিয়ে অসংখ্য কাজ করা যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করা হলো: 1. চ্যাটবট ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: যেমন ChatGPT, Siri, Google Assistant ইত্যাদি। 2. অনুবাদ ও ভাষা বোঝা: Google Translate বা AI দিয়ে লেখা অনুবাদ করা যায়। 3. চেহারা ও কণ্ঠ শনাক্তকরণ: মোবাইল বা সিকিউরিটি ক্যামেরায় ফেস রিকগনিশন। 4. অটোমেটেড গাড়ি চালানো: Tesla ও অন্যান্য স্মার্ট গাড়ি AI ব্যবহার করে চালানো হয়। 5. স্বাস্থ্যসেবা: রোগ শনাক্ত, রিপোর্ট বিশ্লেষণ ও চিকিৎসায় সহায়তা। 6. ডিজাইন ও কন্টেন্ট তৈরি: ছবি আঁকা, ভিডিও বানানো, লেখালেখি — সবকিছুই AI দিয়ে সম্ভব। 7. গেমস ও বিনোদন: গেমে বুদ্ধিমান চরিত্র তৈরি এবং মিউজিক বা ভিডিও সাজানো। --- AI ভবিষ্যতের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, যা আমাদের জীবনকে সহজ ও আরও স্মার্ট করে তুলছে। আপনি যদি প্রযুক্তি ভালোবাসেন, তাহলে AI শেখা বা ব্যবহার করা হতে পারে আপনার জন্য দারুণ একটি সুযোগ!

Comments

Popular posts from this blog

ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধে বাংলাদেশের কি হবে...?

কাল্পনিক গল্প: ভারত-পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধে বাংলাদেশে ফেনীর মানুষ কেমন থাকবে? (মূল চরিত্র: মাহমুদ মাহিদ) --- অধ্যায় ১: এক ভোরে বদলে গেল সব কিছু মোল্লার তাকিয়ায় একদিন সকালে মাহমুদ মাহিদ বসে ছিল চায়ের কাপ হাতে, কুয়াশা আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার ফোনে খবর এল — “ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ শুরু করেছে!” এটা প্রথমে তার কাছে কল্পনা মনে হলেও, পরের দিন খবর আরও ভয়াবহ হয়ে এল — “দিল্লিতে পরমাণু বিস্ফোরণ!” আকাশে তখন বিশাল ধোঁয়ার মেঘ, বাতাসে অদ্ভুত গন্ধ। মাহমুদ কাঁপতে কাঁপতে ভাবলো, “আমাদের এই ফেনী, এই বাংলাদেশ কি বাঁচবে?” --- অধ্যায় ২: রেডিয়েশন ও সংকট ফেনীতে প্রথমে কোনো সংকেত ছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করলো। আকাশে বিষাক্ত মেঘের মতো রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়েছিল। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। পানি, খাবার — কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামে কিছুটা উচ্ছ্বাস থাকলেও, সবাই জানতো— “এই যুদ্ধের ধ্বংস আমাদের কাছে দ্রুত চলে আসবে।” মাহমুদ তখন বন্ধু জুবায়েরের সাথে বসে, একে অপরকে সাহস দিচ্ছিলো। কিন্তু জুবায়ের বললো, “ভাই, রেডিয়েশন! কি করবো আমরা?” মাহমুদ নিজেও চিন্তিত ছিল, তবে মনে মনে ভাবলো, “এখন ...

শাপলা চত্বরে সে কালো রাত।

 শাপলা চত্বরের সেই কালো রাত: ১২ বছর ধরে বিচারহীনতার গ্লানি ২০১৩ সালের ৫ মে। রাত তখন ঘন অন্ধকারে ঢাকা, আর শাপলা চত্বরে ঢাকার বুক কাঁপানো এক নির্মম ইতিহাস রচনা হচ্ছিল। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ শেষে যখন হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছিল, তখন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এক যৌথ অভিযান সেই শান্ত চত্বরকে পরিণত করেছিল মৃত্যুপুরীতে। রাতভর চলে “অপারেশন সিকিউর শাপলা”। চোখে ধোঁয়া, বুকে গুলি, শরীরে লাঠির আঘাত—কেউ পালাতে পারেনি। ছাত্র, শিক্ষক, শিশু, বৃদ্ধ—কারো গায়ে ‘বিপ্লবের রঙ’ ছিল না, তবু তারা যেন অপরাধী হয়ে উঠেছিল রাষ্ট্রের চোখে। আজ ২০২৫ সাল। সেই বিভীষিকার ১২ বছর পার হয়ে গেছে। ১২ বছর কেটে গেছে, কিন্তু আজও সেই রাতের কোনো বিচার হয়নি। নেই কোনো ট্রুথ কমিশন, নেই নিরপেক্ষ তদন্ত। নেই নিহতদের পূর্ণ তালিকা, নেই দোষীদের বিচার। হেফাজতে ইসলাম ২০২৫ সালের ৫ মে পর্যন্ত ৯৩ জনের একটি প্রাথমিক নিহত তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্র এখনও নিশ্চুপ। মিডিয়া এই ঘটনা ভুলে গেছে, আর যারা সেই রাতে নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের পরিবার আজও আশায় বুক বাঁধে—কোনোদিন হয়তো তারা ফিরে আসবে। ১২ বছর ধরে চলছে— ন্যায়বিচারের অপেক্ষ...